ইসলামি লেখকদের দৃষ্টি আকর্ষণ! একটি গুরুতর প্রশ্ন ও ভয়ানক আশংকার কথা - Musa Al Hafiz
লিখেছেন লিখেছেন আওণ রাহ'বার ০৫ অক্টোবর, ২০১৫, ০৭:৫০:৩৯ সন্ধ্যা
গতকাল প্রায় দুই ঘন্টা সময় কলেজ পড়ুয়া তরুণ মাওলানাদের নিয়ে কাটালাম। তাদের উদ্দীপনা আমাকে সাহস দিয়েছে। মুক্তালোচনা হলো। ওদের মধ্যে আছে কাজের পিপাসা। জ্ঞানের অভিপ্রায়। বলে দিয়েছি, সময় পেলেই এসো। মৃত অক্ষরের চেয়ে জীবন্ত মানুষকে সময় দিলে সুফল ফলবে বেশি। কিন্তু মুশকিল হলো মানুষ যে হারে বাড়ছে, জীবিত মানুষের পরিমান তার সাথে পাল্লা দিয়ে কমছে! মরা মানুষের যোগ্যতা হলো সমস্যার জন্ম দেয়া। আমরা প্রতিনিয়ত সমস্যার জন্ম দিচ্ছি।
কে একজন প্রশ্ন করেছিলেন মাজহাবগত সমস্যা কি এই পর্যায়ে পড়ে?
গুরুতর প্রশ্ন। আমি আন্তঃমাজহাবে জটিল কোনো সমস্যা দেখি না। যখন তলিয়ে দেখি, দেখি - এটা কোনো সমস্যাই নয়।
কারণ শরীয়ার লাখো মাসআলার মধ্যে মতভেদ আছে খুব অল্পতেই। যে সব জায়গায় মতভেদ,তাও গুরুতর কিছু নয়। যেমন সালাতের কথাই ধরুন। বিপুল সং্খ্যক মাসাইল এতে। অধিকাংশে সকল ফকীহ একমত। হানাফী মতে সালাতে আহকাম আরকান তেরটি ফরজ। অন্য মাজহাবে ও এ তের ফরজ স্বীকৃত। অন্য মতে শুধু তাদিলে আরকান বাড়ে। যাকে হানাফী ফিকহ ফরজ না বললেও ওয়াজিব বলে। অর্থাৎ আদায় করতেই হবে।
হানাফী মতে সালাতে ওয়াজিব চৌদ্দটি। অন্য মতের সাথে এখানে এখতেলাফ সামান্যই। যেমন - আসসালামু আলাইকুম বলে সালাত শেষ করা অন্য মতে ফরজ। হানাফী মতে ওয়াজিব। এটা শুধু শব্দের ভিন্নমত। কারণ ওয়াজিব ও ফরজকে কেউ কেউ সমার্থক বলে ধরেছেন। যে সব কারণে সালাত ফাসেদ বা মাকরুহ হয়, তার অধিকাংশে কোনো মতভেদ নেই। রইলো সুন্নত -মুস্তাহাব। যে সব সুন্নত নিয়ে ভিন্নমত নেই, তার সং্খ্যাই অধিক। আবার ভিন্নমত যেগুলোতে, তার স্বরুপ অত্যন্ত স্পষ্ট। যেমন সুরা ফাতিহার শেষে আমিন বলা সুন্নত। এতে কোনো ভিন্নমত নেই। সুন্নতটি কীভাবে আদায় করা উত্তম, এ নিয়ে হাদীসের বক্তব্য ও ব্যাখ্যায় মাজহাবগত ভিন্নমত দেখা দিয়েছে। জোরে উত্তম না আস্তে উত্তম - এ তর্ক দানা বেঁধেছে। তেমনই আযানে তরজী করা, না করা,দুয়া কুনুত রুকুর আগে না পরে পড়া,ঈদের সালাতে বাড়তি তাকবির ছয় না এগারো না বারটি,- ইত্যকার ভিন্নমত কেবল পদ্ধতিগত। ইমাম ইবনে তাইমিয়া যাকে বলেন - ইখতেলাফে তনওউ ' বা পদ্ধতিগত মতভেদ।
আবার কিছু মতভেদ আছে গুরুতর। যেমন নাবালকের সম্পদে যাকাত ফরজ কী না,শরীর থেকে রক্ত বেরুলে ওজু থাকে কী না, পানাহারে সাওম নষ্ট করলে কাফফারা ওয়াজিব কী না,ভুল সংশোধনের জন্য কথা বললে সালাত ফাসিদ হয় কী না, ইমামের পেছনে মুক্তাদি কেরাত পড়বে কী না - এ সব বিষয়ে এক মত অন্য মতের বিপরিত। ইবনে তাইমিয়া একে বলেছেন ইখতেলাফে তাযাদ বা পরস্পর বিরোধী ভিন্নমত। এগুলোর সং্খ্যা খুবই কম। মূলত এ সব ভিন্নমত হাদিসের ইমাম এমনকি হাফিজুল হাদিসদেরকেও বাধ্য করেছে কোনো এক মাজহাব মেনে নিতে। কারণ প্রতিটি মাজহাব দলীল নিয়েই দাঁড়িয়েছে। ব্যক্তিগত পছন্দ -অপছন্দের স্থান এখানে নেই। ফলে ইসলামী জ্ঞানের সোনালি যুগেও এসব বিষয় নিয়ে সমাজ টুকরো টুকরো হয় নি। সবাই জানতেন সংবিধানের ব্যাখ্যা বিচারপতির কাজ। সাধারণ আইনজীবী সেই ব্যাখ্যাকে অবলম্বন করে পথ চলেন।
এখন,ইসলামী জ্ঞানের দারিদ্র ও রিক্ততার যুগে আমরা একে ঝগড়াঝাঁটির ক্ষেন্দ্রে নিয়ে এসেছি। মনে হচ্ছে, এগুলো নিয়ে তর্কবিতর্ক ইসলামের মহোত্তম কাজ। অথচ এ তর্ক ইসলামের কোনো প্রতিপক্ষের সাথে হচ্ছে না। বিরুদ্ধবাদী কোনো দলীলের মোকাবেলায় ও নয়।
তাহলে একটি মহল এ নিয়ে এতো উদ্যমী কেন? ইতিহাসের একজন ছাত্র হিসেবে বলছি, যখনই মুসলিম জাহানে গুরুতর বিপর্যয় এসেছে, সাথে সাথে এসেছে এমন কোনো ফেতনা, যা জাতির শ্রেষ্ঠ মেধাসমূহকে মূল বিষয় থেকে অনেক দূরে সরিয়ে রাখে।
সমাজের দৃষ্টিকে ব্যস্ত রাখে আত্মনাশা হানাহানিতে। আমি মুসলিম জাহানের চলমান চৈন্তিক বিপর্যয়ের প্রেক্ষাপটে উগ্রসালাফীদের সীমাতিক্রমী কাজে তারই ছায়া লক্ষ্য করছি।আবার আমাদের কিছু
লোক উগ্রতায় লিপ্ত, সেটা ও দেখছি।ওরা মূলত
ফেতনার সহায়তা করছে। দালিলিক ও
যুক্তিগ্রাহ্য মোকাবেলাই বিভ্রান্তির
মোকাবেলা। উগ্রতার বিপরিতে উগ্রতা
বিভ্রান্তির ডালপালাই শুধু প্রসারিত করে।
অনেকেই বিদগ্ধ প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন।যা
শ্রদ্ধাযোগ্য। কিছু শ্রমনিষ্ঠ যোগ্য আলিম
ভারসাম্যের যে ভাষা ও বিক্রম নিয়ে বিভ্রান্তির
সামনে দাঁড়িয়েছেন, এর ফলে তার গতিরোধ
সম্ভব। কেউ গালি দিয়ে প্রতিরোধী
আলেমদের মোটেও সহায়তা করেন না। বরং
অন্যদের উগ্রতাকে বৈধতা দিয়ে বসেন। তারা
তখন বলতে পারে, উগ্র আমরাই নই, তোমরাও।
সাধরণ মানুষ সব দেখে, শুনে।তারা দলিল
হয়তো কম বুঝে, কিন্তু আক্রমনাত্মক আচরণ
মূহূর্তেই ধরে ফেলে।
।আহা! উম্মাহের কল্যাণকামী সালাফী বন্ধুগণ তাদের ভেতরের সীমাতিক্রমীদের যদি চিনতে পারতেন!!
আহা! উম্মাহের কল্যাণকামী মুকাল্লিদ আমরা নিজেদের মধ্যে ঢুকে পড়া সীমাতিক্রমীদের যদি চিনতে পারতাম!!
বিষয়: বিবিধ
২২২৬ বার পঠিত, ৩৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জাজাকাল্লাহ দোয়ার জন্য।
যদি একটু ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে দেই, তবে সেটা হবে উম্মাহের জন্য কল্যাণকর।
আমাদের দৃষ্টিপট এর পরিবর্তণ এখনই জরুরি; কারন যে সময়টা এই অহেতুক বিতর্কে নষ্ট হচ্ছে সে সময় অনেক বড় দামি।
জাজাকাল্লাহ মন্তব্যের জন্য।
অনেক ভাল একটা লিখার জন্য আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন ।
তোমাকেও
জাজাকিল্লাহ,
সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে অনুপ্রেরনার জন্য।
লেখকের কথা কোট করছি:
ইতিহাসের একজন ছাত্র হিসেবে বলছি, যখনই মুসলিম জাহানে গুরুতর বিপর্যয় এসেছে, সাথে সাথে এসেছে এমন কোনো ফেতনা, যা জাতির শ্রেষ্ঠ মেধাসমূহকে মূল বিষয় থেকে অনেক দূরে সরিয়ে রাখে।
প্রিয় কবির ভাষায়: তবু, তুমি জাগলে না ?!
বেশ আফসোস হয় আমাদের কামড়া-কামড়ি দেখে।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
মা-শা আল্লাহ, সুন্দর পোষ্টটির জন্য শুকরিয়া। জাযাকাল্লাহ খাইর
পাশে থাকার জন্য আপনাকেও জাজাকাল্লাহ।
শুকরান শুকরিয়া
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ,
বারাকাল্লাহু ফীক।
পাশে থেকে দাবী জোড়ালো করার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
ভাইয়া প্রচন্ডরকম আফসোস হয় যখন দেখি এরকম ঝগড়া।
ইশ এই সময়গুলো কতটা ভালো কাজে লাগতে পারতো!? অথচ এই সময়গুলো দ্বারা জাহান্নাম এর আগুন খরিদ করা হচ্ছে!!! আল্লাহ ক্ষমা করুন। আমিন
বারাকাল্লাহু ফীক।
সাথে থেকে সমর্থন করার জন্য অগণিত শুভেচ্ছা।
অন্তত আমাদের সময়গুলো যেনো অবহেলায় নষ্ট না হয়!
কারন সময়গুলো হচ্ছে জীবনের সমষ্টি।
জাজাকিল্লাহ আপু সমর্থনের হাত বাড়ানোর জন্য।
সময় ও অবস্হান বিবেচনায় শরীয়তের নির্দেশ পবিবর্তন হয়! এটা কোরান-হাদীস স্বীকৃত বিষয়!
তাই একই বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন হাদীস দেখা যায় এবং দু'নোটাই স হীহ!
এই সব নিয়ে আত্মঘাতী বিতর্কে লিপ্ত হওয়া প্রকৃত মুসলিমের কাজ নয়!
আল্লাহ মুসলিমদের সঠিক বুঝ দান করুন,আমিন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান হে মুহতারাম!
তাই কড়জোরে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি এমন শব্দ থেকে, এটা ঐ সুনীল আকাশের মত সত্য যাতে মোটেও বিনয়ের প্রকাশ নেই।
প্রিয় ভাই ব্যাথায় মনটা তখন ভার হয়ে যায়, যখন দেখি দুজন ভাই একে অপরকে কাফের বলছে!
যখন দেখি তুচ্ছ বিষয় নিয়ে একে অপরের মা বাবা সহ সবাইকে গালি দিচ্ছে!
আফসোস হে পথিক,
তুমিতো বাইতুল্লাহ যেতে পারবেনা কারন যে পথ তুমি ধরেছো সেতো তুর্কিস্তানের পথ!
এখনই সময় জাতীর শ্রেষ্ঠ মেধাগুলোকে সঠিক পথে ব্যাবহার করার।
এখনই সময় ফিরে আসার!
জাজাকাল্লাহ আহসানাল জাজা হে প্রিয় ভাই।
পীড়াদায়ক অত্যন্ত কষ্টকর হলেও আপনার কথার যথার্থতা কবে যে অবুঝ এই সমাজ বুঝবে!
আল্লাহ রক্ষা করুন হীন এই সব বিষয় থেকে আমিন ছুম্মা আমিন!
জাজাকাল্লাহু খাইরান।
জাজাকাল্লাহু খাইরান।
আজকাল কিছু মানুষ বলে বেড়াচ্ছে ইমামদের কথা শুনার দরকার নাই। কোরান হাদিস দেখেই চলো।
কিন্তু এক লাখে কত জন কোরান হাদিস দেখে চলতে পারে সেই প্রশ্ন করলে তখন অন্য দিকে চলে যায়।
এরা আবার কোরান আর সহী হাদিসের মিছিল করে। আবার প্রচুর মিথ্যা কথা বলে। ইমামদেরকে গালিদেয়। দেওবন্দি জামাতি বেরেলভী সবাইকে কাফের বলে। তাদের নিজেদের মধ্যেও অনেক মতভেদ আছে। দলাদলি আছে। কোরান আর সহীহ হাদিসের সুন্দর শ্লোগান দেখে সাধারণ শিক্ষিতরা সেই দলে বেশি ভিড়ে যাচ্ছে। শেষে হাদিস অস্বিকার করছে। সহীহকে জয়ীফ আর জয়ীফকে সহীহ বলতে একটু ডরায় না এরা।
এদের নাম নাকি আহলে হাদিস।
ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি যে বিষয়টা বলেছেন সেটা প্রচন্ড আফসোসের বিষয় এবং কতটা যে বাস্তব আমরা সবাই দেখছি! কেউ কেউ তো বলে হানাফি মাযহাবের সবাই কা...!!!!। এরা মাযহাব নিয়ে অতি মাতামাতি করলেও তারা সম্পূর্ণ মুকাল্লিদ। শাইখদের মাঝে কারোকারো তিলাওয়াতের যে অবস্থা শুনেছি! নামায শুদ্ধ হওয়া কষ্টকর! বোখারী বলে জানকুরবান করে অনেক কিন্তু বোখারীর একটা ইবারত ও পড়তে পারবেনা! হা ভাই বোখারীর যে বাংলা তরজমা পড়ছেন সেটা কি সরাসরি হাদীস!? রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এভাবে বলেছেন? তবে! তবে! তবে আপনিও মুকাল্লিদ! কারন আপনাকে অনুবাদের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে।
আসলে সমস্যাটা হলো "অতি" দের নিয়ে।
আমি নিজে কিছু সালাফি ভাইদের সাথে ওঠাবসা করি! প্রচন্ড ভালোবাসা আমার সাথে এবং অনেকেই আমার সাথে সামাজিক মিডিয়ায় আছেন। কই তাঁদেরতো আজ পর্যন্ত বাস্তবে বা সামাজিক মিডিয়ায় বাড়াবাড়ি করতে দেখলাম না!! তাঁরা এটা জানেন যে, ইখতিলাফ হলে করনীয় কি? তারা এটা মানেন এটা ঠিক ওটাও সঠিক। তারা রাফায়ে ইয়াদাইন করাকে সুন্নত মনে করেন আবার না করাকেও সুন্নত মনে করেন। সরোবর এর সাথে যুক্ত হয়ে মানবতার সেবায় এগিয়ে যান। এরাওতো আমাদের সালাফী ভাই।
।
আহা! উম্মাহের কল্যাণকামী সালাফী বন্ধুগণ তাদের ভেতরের সীমাতিক্রমীদের যদি চিনতে পারতেন!!
আহা! উম্মাহের কল্যাণকামী মুকাল্লিদ আমরা নিজেদের মধ্যে ঢুকে পড়া সীমাতিক্রমীদের যদি চিনতে পারতাম!!
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
জাজাকাল্লাহ।
মাজহাব মানলে কাফের হয়ে যাবে বলে যারা ইউটিউবে শ্লগান দিচ্ছে তাদের বিষয়ে একটু বলুন।এমনকি মাজহাবের কথাগুলো কোরান হাদিস থেকেই নেয়া হয়েছে। তারপরেও সেটা মানলে কীভাবে কাফের হয়ে যাচ্ছে একটু জানাবেন।
আমরা তাঁদের আলোচনায় বসি তারাও আমাদের আলোচনায় বসেন। আমাদের সাথে তাবলীগেও সময় দেন। একদম খাঁটি সালাফি তারাও। কিন্তু তাঁরা কোন বাড়াবাড়িতে নাই। সমস্যাটা হলো কিছু অর্বাচীনকে নিয়ে যাদের কোন জ্ঞান নাই, এলেম কালাম নাই; কিন্তু পারে শুধু বিভক্তি বাড়াতে।
বেওকুফের দল এ বিষয়কে সওয়াব মনে করে! নাউযুবিল্লাহ।
আমরা চাই একতা আর অহেতুক বিষয়গুলোকে পরিহার করার জন্য।
এটা মানাই হলো বড়কথা।
জাজাকিল্লাহ বৃত্তাপু অন্নেক শুকরিয়া
গুরুত্বপূর্ণ এবং গঠনমূলক মন্তব্যটির জন্য। আমাদের বুঝ আসাটা অনেক জরুরি।
দুঃখিত দেরিতে জবাব দেয়ার জন্য।
প্লিজ, কারো দিকে আর তাকিয়ে থাকা নয়, কেউ আসুক অথবা নাই আসুক, আপনি আসছেন, লিখছেন, ভালো কিছু উপহার দেয়ার চেষ্টা করছেন, এটাই নিশ্চিত করুন!
মনে রাখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ব্যাস্ততা!! চাই একটু অবসর।
মন্তব্য করতে লগইন করুন